প্রেমের ফাঁদ পেতে গৃহবধূকে ডেকে এনে গণ’ধর্ষণ

মোবাইল ফোনে প্রেমের ফাঁদ পেতে বিয়ের কথা বলে গৃহবধূকে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়তারা গ্রামে ডেকে এনে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে ক্ষেতলাল থানায় বড়তারা গ্রামের কথিত প্রেমিক মুকুল হোসেন (৩২) এবং তার সহযোগী একই গ্রামের ইদ্রিস আলী (৪০), লালন মালী (৪৫), তারাকুল গ্রামের জহির হোসেন (৪০) ও অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনের বিরুদ্ধে ওই গৃহবধূ মামলা করেছেন। থানা,

এলাকাবাসী ও নির্যাতিত গৃহবধূ জানান, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ওই গৃহবধূর সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় থেকে প্রেম হয় মুকুল হোসেনের। ৯ মাস ধরে চলা সম্পর্কের একপর্যায়ে মুকুল গৃহবধূকে বিয়ে করার কথা বলে ক্ষেতলালে আসতে বলে। গৃহবধূ গত বুধবার বিকেলে ট্রেনে করে জয়পুরহাটে আসেন। সেখান থেকে মুকুলের নির্দেশনায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি ক্ষেতলালের নিশ্চিন্তা বাজারে পৌঁছেন।

সেখানে অপেক্ষমাণ মুকুল তার মোটরসাইকেলে গৃহবধূকে নিয়ে বড়তারা গ্রামের পাশের মাঠে জাহিদুল ইসলামের গভীর নলকূপের ঘরে আটকে রাখে। পরে মুকুল ওই সহযোগীদের নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার সকালে গৃহবধূ মুকুলের বাড়িতে অবস্থান নিলে গ্রামবাসী বিষয়টি জানতে পারে। আসামিরা স্থানীয়ভাবে বিষয়টি আপসের চেষ্টা চালিয়ে

ব্যর্থ হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় গৃহবধূ থানায় মামলা করেন। জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ গতকাল শুক্রবার সকালে বলেন, মুকুল তাঁকে বিয়ে করবে বলে তিনি নিজ ঘর ছাড়েন। মুকুল বিবাহিত, সেটাও গোপন রাখে তাঁর কাছে। তাঁকে ধর্ষণসহ তাঁর মোবাইল ফোন ও কিছু টাকাও অভিযুক্তরা কেড়ে নিয়েছে।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. তুলশী চন্দ্র রায় বলেন, ‘শনিবার (আজ) মেডিক্যাল টিম গৃহবধূর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিলে গণধর্ষণের বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে।’ ক্ষেতলাল থানার ওসি আকরাম আলী বলেন, ‘ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে পুলিশ তদন্ত করছে। হাসপাতালে পুলিশি প্রহরায় গৃহবধূর চিকিৎসা চলছে।’